বাগেরহাটে এনজিও”র প্রতারনার ফাদে এক বৃদ্ধ নারী আলেয়া বেগম মৃত্যুর পথযাত্রী। প্রবাসী পুত্রের করুন আর্তনাদ।

বাগেরহাটে এনজিও”র প্রতারনার ফাদে এক বৃদ্ধ নারী আলেয়া বেগম মৃত্যুর পথযাত্রী। প্রবাসী পুত্রের করুন আর্তনাদ।
বাগেরহাট থেকে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে বিশেষ প্রতিনিধির স্পেসাল রিপোর্টঃবাগেরহাট সদর উপজেলার শহরতলী বেমরতা ইউনিয়নের ভদ্রপাড়ার প্রগতি কৃষি ও মতস্য চাষ সমবায় সমিতি লিমিটেডের বিরুদ্ধে একাধিক গুরতর অভিযোগ উঠেছে।তারা ডিপিএস,ফিক্সড, সঞ্চয়ের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।এই সমিতির কর্মকান্ড ইউনিয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার কথা থাকলেও বাগেরহাট শহর ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা কচুয়ার ফতেপুর সাইনবোর্ড পর্যন্ত সুদের ব্যবসা জমজমাট এবং অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে নিয়মিত গ্রাহককে প্রতারনার ফাদে ফেলে স্বর্বশান্ত করে তাদেরকে এলাকা ছাড়া করছে।এই সমিতির নামে কৃষি ও মতস্য চাষের কোন প্রকল্প চোখে পড়েনি এমনকি তাদের
,,,,অফিসে কোন সাইনবোর্ড নেই আর তা প্রমান করে এটি ভুয়া ও প্রতারনার সাধারন গরীব মানুষ মারার কারখানা।বাগেরহাট পুলিশ সুপার ও সদর মডেল থানায় ভদ্রপাড়া গ্রামের নিরীহ পুত্রবধূ সোহেলী আক্তার তার সদস্য নম্বর ৪৯৩ ডিপিএস -০০০০০৭৫ এক লিখিত অভিযোগে বৈটপুর সাকিনের মোঃ শাহিন কাজি(৪২) পিতা মৃত নজরুল কাজি,মোঃ মোস্তফা হালদার(৪৫) পিতা শাহাদত হালদার, ইয়ামিন হোসেন সুক(৪৫)পিতা মৃত মুজিবর শেখ,জাফর শেখ (৪৭)পিতা আমজাদ শেখ সর্ব সাং ভদ্রপাড়া।এরা এই সমিতির মালিক পক্ষ। এদের বিরুদ্ধে নারীর শ্লীলতা হানি, গরু জবাইকরে মাংশ রেখে উচ্ছিষ্ট দড়াটানা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার মতো অনেক লোমহর্ষক ঘটনা রয়েছে।সোহেলী আক্তারের বৃদ্ধ শাশুড়ি আলেয়া বেগমের ৮৫ হাজার টাকা চাইতে গেলে হিসাবের কথা বলে জমা বইটি নিয়ে যায়।পরে তিলে তিলে জমাকৃত সঞ্চয় চাইতে গেলে উভয়কে গালাগালি এবং হত্যার হুমকি সহ বলে তোরা থানায় যাবি মন্ত্রী এমপি আমাদের কিছুই করতে পারবেনা।আমাদের খুঁটিরজোর অনেক দূর পর্যন্ত প্রলম্বিত। আলেয়া বেগমের বয়স (৭৫) উর্ধ টাকা না পেয়ে স্ট্রোক করেন।প্রথমে তাকে সদর হাসপাতাল পরে খুলনা মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে কিছুদিন চিকিতসার পর আর্থিকভাবে অর্থ সংকট এবং এখন তিনি নিজ বাড়িতে প্যারালাইজড হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।তাদের বাড়িতে কোন পুরুষ লোক না থাকায় অভিযোগ কারী পুত্রবধূ সোহেলী আক্তারকে মোবাইলে,ইমুতে তাকে অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে ইজ্জৎ লুটে নেয়া সহ প্রাণনাশ করার হুমকি অব্যাহত রেখেছে।তার স্বামী শেখ সাইফুদ্দিন মিলু বর্তমান মাত্র ৫ মাস আগে কর্মসংস্থানের উদ্দ্যেশ্যে সাউথ আফ্রিকায় পাড়ি জমালেও তার দিন কাটে চিন্তায়,মানুষিক উদ্বিগ্নতায় প্রহর যেন কাটেনা তার চোখে অশ্রু কান্নার লোনাজলে মিলু পাথর হয়ে গেছে মায়ের দুঃশ্চিন্তায়।কখন কি হয়ে যায়।মিলু তার ফেসবুক লাইফে বলেছে তার মা মারা গেলে উল্লেখিতদের মৃত্যুর দ্বায়ভার বহন করতে হবে এ সংক্রান্তে কুচক্রীদের বিরুদ্ধে সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ কারীর পরিবার থেকে বলা হয়েছে।দেশের কিংবদন্তি ক্রাইম রিপোর্টার জনাব ওয়াহিদ মুরাদের নিজ গ্রামের এহেন জঘন্যতম ঘটনার তীব্র নিন্দাজ্ঞ্যাপন সহ অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের জন্য ইতোমধ্যে খুলনা রেঞ্জের উপমহা- পুলিশ পরিদর্শক,বাগেরহাট পুলিশ সুপার মহোদয়কে সোহেলী আক্তারের অভিযোগ আইনে আমলে আনার আহবান জানিয়েছেন।এই সমিতির চাকরীরত হিসাব রক্ষককে ফাদে ফেলে তার বাস্তুভিটা বিক্রি করে এই চক্রকে ৮ লাখ টাকা প্রদান করে এলাকা ছেড়েছে। আর এক কর্মচারি নিরীহ রোজিনাকে হিসাবে গড়মিলের কথা বলে দু”কাঠা জায়গা ঐ চক্র তাদের নিজেদের নামে লিখিয়ে নিয়েছে।এরাও এখন গ্রাম ছাড়া।এই সমিতির সদস্য সংখ্যা দুই থেকে তিনহাজার হলেও লভ্যাংশের লোভ দেখানো সম্পুর্ন এই সমিতির পরিপন্থী। এই সমিতি গঠিত হয় যে কারনে তার কোন কর্মকান্ডই এই সমবায় সমিতির ঝুড়িতে নেই।সোহেলী আক্তারের সঞ্চিত টাকাও রয়েছে তাও ফেরত পায়নি।ভদ্রপাড়ার এই বৃদ্ধ মহিলা আলেয়া বেগমের চোখেরজল থামছেনা।পুরুষ বিহীন এই পরিবারটি এখন সম্পুর্ন নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছে।বাগেরহাট সদর থানার এস আই জনাব মামুন এই প্রতিনিধিকে বলেন খুব শীঘ্রই অভিযোগ কারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে জরুরি ভিত্তিতে আইনি ব্যাবস্থা নেয়া হবে।।।। টপ নিউজ 24 স্বাগতম