নেত্রকোনায় শিক্ষক কুতুব উদ্দিনকে হত্যা করে তার পরিবারের উপর চাপিয়ে দেয়া হলো লুটের মামলা
= পর্ব ১
তাইফুর রহমান তপু
ক্রাইম রিপোর্টার নেত্রকোনা:
নেত্রকোনায় পারিবারিক শত্রুতার জেরে “এক বেসরকারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: কুতুব উদ্দিন ” নিজের ভাই ভাতিজার হাতে খুন হোন, পরর্তীতে এই খুনকে ধামাচাপা দিতে কুতুবুদ্দিনের পরিবারের উপর লুটের মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করে হত্যাকারী চক্র। গত ২০১৯ এর ১১ জুলাই নেত্রকোনা পূর্রধলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়ন ভবানীপুর গ্রামে এ হত্যা কাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
১২ জুলাই ২০১৯ ইং মৃতের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা বেগম বাদী হয়ে আব্দুস ছাত্তারকে প্রধান করে পূর্বধলা থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে এ হত্যা মামলাকে আটকে দিতে এবং মামলার বাদী,সাক্ষী ও তার পরিবারকে হয়রানী করতে কুতুব উদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুস ছাত্তার বাদী হয়ে কুতুব উদ্দিনের স্ত্রী সন্তানসহ ২৪ জনের উপর দঃবিঃ ১৪৭/১৪৮/৩৭৯/৩২৩/৩৫৪/৫০৬ (২) ধারার হয়রানীমূলক মিথ্যে মামলা দায়ের করে।
কুতুব উদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামী আব্দুস ছাত্তার বাদী হয়ে করা মামলায় ছাত্তারের অভিযোগ কুতুব উদ্দিনের স্ত্রী সন্তানসহ অন্যান্যেরা তার বাড়ি ঘর লুট করে সুকেজের ড্রয়ার ভেঙ্গে স্বর্ণ গহনা, আসবাসপত্র টাকা পয়সা ও প্রয়জনী কাগজপত্র, জমির দলিলাদি চোরি করিয়া নিয়ে যায় এবং ঘরবাড়ি ভাঙ্গচুর করে ,ক্ষতির পরিমাণ হিসেবে ৭ লাখ টাকার মত মামলার এজহরে উল্লেখ করে ছাত্তার।
এদিকে কুতুব উদ্দিনের পরিবারের সাথে এ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তার স্ত্রী বলেন ভবানীপুর মাদরাসার সামনে সিদ্দিক মিয়ার পুকুরপাড়ে শিমুল তলায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আমার স্বামীকে ছাত্তার সদল বলে এলোপাথারি পিটিয়ে এবং কুপিয়ে আহত করে, (ছাত্তার নিজে রাম দা দিয়ে আমার স্বামীকে কুপিয়েছে) আমি এবং আমার সন্তানদেরকেও পিিেটয়ে জখম করেছে। হসপিটালে নেওয়ার পথেও পথরোধ করে ছাত্তার ও তার দলবল, পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় আমরা নেত্রকোনা সদর জয়নগর হসপিটালে ভর্তি হই, আমার স্বামী চিকিৎসাধীন অব¯’ায় মারা যায়, আমি বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করি, তরপর থেকেই এ মামলাকে ধামাচাপা দিতে আমাদের বিরুদ্ধে ছাত্তার গংয়েরা নাটক সাজিয়ে মিথ্যে মামলা দায়ের করে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসতেছে। এমন কি এ ভিত্তিহীন মিথ্যে মামলায় অনিত অভিযোগ দিয়ে সংবাদমাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার করে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টাও চালিয়েছে খুনী ছাত্তার ও তার দলবলেরা।
কুতুব উদ্দিনের পরিবারের উপর ছাত্তারের করা মামলার বিষয়ে পূর্বধলা থানায় কর্তব্যরত অফিসার ইন্চার মোহাম্মাদ তাওহীদুর রহমানের সাথে মুঠফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা ছাত্তারের মামলাটি আমলে নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে কোনো সত্যতা পাইনি, যার চূরান্ত প্রতিবেদন গত ১৫ এপ্রিল ২০ইং তারিখে আদলতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তারিখ:১১/০৯/২০ইং