নাটোরে গণ ধর্ষণের ঘটনার ধর্ষক সহ নুর নাহার মিথিলা দম্পতি আটক।।।

নাটোর শহরের হাফরাস্তা এলাকায় এস এসসি পরিক্ষার্থীকে গণ ধর্ষণের ঘটনার সাড়ে চার ঘন্টার মধ্যে তিন ধর্ষক এবং দুই সহযোগীকে আটক করেছে নাটোর সদর থানা পুলিশ। এদিকে ঘটনার পর অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সাড়ে চারঘন্টার সাড়াশি অভিযানে তিন ধর্ষককে আটক করতে সক্ষম হয়েছে নাটোর সদর থানা পুলিশের একটি টিম। ধর্ষকরা হলেন নাটোর শহরের কানাইখালী মহল্লার আফজাল হোসেনের ছেলে ও ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রনি, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে রকি এবং আব্দুল মজিদের ছেলে সোহান কে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও উক্ত ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগীতার অভিযোগে মৃদুল হোসেন এবং তার স্ত্রী মিথিলা পারভীন কে আটক করা হয়েছে।

এই চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে, নাটোর শহরের হাফরাস্তা এলাকার সাগর মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসায় । গত মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহীর বিনোদপুর থেকে আবির (২১) নামের এক যুবক তার প্রেমিকাকে নিয়ে নাটোরে আসেন। পরে স্থানীয় তার এক বন্ধু বিয়ে দেওয়ার কথা বলে শহরের হাফরাস্তা এলাকায় মৃদুল ও নুরুন নাহার মিথিলা দম্পতির বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। এই মৃদুল ও মিথিলা দম্পতি ধর্ষক রনি, রকি ও সোহানকে ডেকে নিয়ে আসে। এসময় তারা দলবদ্ধভাবে ঐ ছাত্রীকে মাথায় অস্ত্র ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে তাদের টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবে বলে ভয়ভীতি ও হুমকি দেখায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা ছাড়া পেয়ে রাত আনুমানিক ১১ টায় নাটোর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষকদের গ্রেফতার করতে অভিযানে নামে নাটোর সদর থানা পুলিশ। নাটোর সদর থানার এসআই মোঃ জামাল উদ্দিন জানান, আমরা ধর্ষিতার অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এদের ধরতে অভিযানে নামি। বুধবার ভোর রাতে সদর উপজেলার তেলকুপি নুরানীপাড়া এলাকা থেকে তিন ধর্ষককে আটক করি এবং এর আগে মঙ্গলবার রাতেই মিথিলা ও মৃদুল কে নাটোর শহরের হাফরাস্তা তাদের ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *