টপ নিউজ 24
ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর পানি এখনো দুকূল ছাপিয়ে যায়নি। এখনো বিপৎসীমার কিছুটা নিচেই আছে। কিন্তু তার আগেই ঢাকার পূর্বাংশের বেশ কয়েকটি নিচু এলাকায় বন্যার পানি চলে এসেছে। নন্দীগ্রাম, ত্রিমোহনী, বেরাইদ, সাঁতারকুলসহ ঢাকার এসব এলাকায় ধীরে ধীরে পানি বাড়ছে। সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে বুড়িগঙ্গা, বালু, তুরাগ, ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে।
এ সপ্তাহের মধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টি বাড়তে পারে। ফলে একদিকে শহরের ভেতরে বৃষ্টির পানি জমবে, অন্যদিকে নদীর পানি বন্যা হয়ে শহরে ঢুকবে। এই দুই মিলে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে ঢাকার পূর্বাংশের ১৬টি ইউনিয়নসহ প্রায় ৪০ লাখ মানুষের বসতি এলাকা বন্যায় ডুবতে পারে। মাসের বাকি সময়ে এই পানি নগরবাসীকে ভোগাতে পারে।
বন্যা ও জলাবদ্ধতার এই আশঙ্কার মধ্যে আরও ভয়ের কারণ হচ্ছে, ঢাকা ওয়াসা ও ঢাকা সিটি করপোরেশন বন্যা মোকাবিলায় এখনো তেমন প্রস্তুতি নেয়নি। জমে থাকা পানি বসতি এলাকা থেকে সরানো, নিম্নবিত্ত মানুষদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা থেকে শুরু করে এ পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে তাদের জন্য খাবার ও অন্যান্য সামগ্রী প্রস্তুত করার কোনো কাজই এখনো সরকারি কোনো সংস্থা শুরু করেনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বসব। তাঁদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করাসহ বন্যা মোকাবিলার উদ্যোগগুলো নিয়ে কথা বলব।’ তবে বন্যার পানি ঢুকে পড়লে তা বের করার মতো ব্যবস্থা এ বছর করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকার নিচু এলাকাগুলোর উন্নয়নে চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেটি বাস্তবায়িত হলে পূর্বাঞ্চলে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।
ঢাকা ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের মোট পাঁচটি পাম্পস্টেশন আছে, যেগুলো দিয়ে ঢাকা থেকে জলাবদ্ধতার পানি বের করে দেওয়া হয়। আর বন্যা এলে সেগুলোর স্লুইসগেটগুলো বন্ধ করে পানি আসা ঠেকানো হয়। ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে যাওয়ায় ওই স্টেশনগুলো চালু করা হয়েছে। কিন্তু ওই স্টেশনগুলো ঢাকার পশ্চিমাংশের পুরোটা ও পূর্বাংশের রামপুরা পর্যন্ত বন্যামুক্ত করতে পারে।